অবাক ঘটনা, হাঁটলেই চার্জ হয় মোবাইলে

চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক কোনো কিছুরই প্রয়োজন হবে না। আপনি শুধু নিজের মতো করে হাঁটবেন আর দেখবেন চার্জ হয়ে গেছে আপনার মোবাইল ফোন।

অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা বটে। আর কয়েক বছরের অপেক্ষা মাত্র। তার পরই এমন অভিনব মোবাইল চার্জার হাতে পেয়ে যাবেন। এই চার্জারের আইডিয়া ১৯ বছরের দুই ভারতীয় কিশোরের। দিল্লির মোহক ভাল্লা ও আনন্দ গঙ্গাধারণ।

দুই বাল্যবন্ধু দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই এমন একটা চার্জার বানানোর পরিকল্পনা করে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে প্রথম মডেলটাও বানিয়ে ফেলে। তবে প্রথম মডেলে অনেক সমস্যা ছিল। ক্রমে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। দুই কিশোর জানিয়েছে, সাধারণ মোবাইল চার্জারে যে গতিতে চার্জ হয়, তার থেকে ২০ শতাংশ কম সময়ে চার্জ হয়ে যায় এই ওয়াকিং চার্জারে।

কিভাবে কাজ করে এই চার্জার? মোহক ও আনন্দ জানিয়েছেন, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন পদ্ধতিতে কাজ করে এই যন্ত্র। চার্জারের একটি অংশ ডায়নামো এবং অন্য অংশ বাফার। যন্ত্রটা রাখা হয় ঠিক গোড়ালির নিচে। হাঁটা শুরু হলে গোড়ালিতে চাপ পড়ে।

গোড়ালির এই চাপ থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। সেই শক্তি ডায়নামো ঘোরাতে সাহায্য করে। ডায়নামো ঘোরার সাথে সাথে বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি হয়। এই বিদ্যুৎ দিয়েই চার্জ হবে মোবাইল ফোন। বর্তমানে দিল্লির ভারতি বিদ্যাপীঠ কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে বিটেক করছেন মোহক। চেন্নাইয়ের ভেলোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিটেক করছেন আনন্দ।

তারা জানাচ্ছেন, এ রকম একটা চার্জার বানাতে প্রাথমিকভাবে খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা। তবে যখন একসাথে অনেক চার্জার বানানো শুরু হবে, তৈরির খরচ অনেকটাই কমে যাবে। বর্তমানে যে চার্জার তারা বানিয়েছেন, তার আকারটাও বেশ বড়। পায়ে পরতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেটিও খতিয়ে দেখছেন তারা। আর এক থেকে দু’বছরের মধ্যে তা বাজারে চলে আসবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

সূত্র : ইন্টারনেট।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top