আবারো ধসে পড়ল শ্রেণিকক্ষের ছাদ, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে শিক্ষার্থীরা

বরগুনার তালতলী উপজেলায় পাঠদান চলাকালে পিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের বিম ধসে ছাত্রী নিহত হওয়ার শোক কেটে উঠতে না উঠতেই মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটের সময় বরগুনা পৌর শহরের আমতলা পাড় এলাকার ১৬ নং মধ্য বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ধসে পড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

বিম ধসের এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় রিফাত নামের ৫ বছর বয়সী প্রাক প্রাথমিকের এক শিক্ষার্থী। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শামীমা নিপা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, যে শ্রেণিতে ছাদের একাংশ ধসের ঘটনা ঘটছে ওই শ্রেণিতে প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছিল। যেই স্থানে ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে সেই স্থানে রিফাত নামের পাঁচ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থী বসা ছিল। রিফাত ইউনিফর্ম পরে না আসার কারণে তাকে আমি ইউনিফর্ম পরতে বাসায় পাঠাই। রিফাত ওই স্থান থেকে উঠে যাওয়ার এক থেকে দেড় মিনিটের ব্যবধানে ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে। দুই বছর আগে আমি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করি। এই দুই বছরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে কোনো সংস্কার হয়নি। এমনকি ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া এবং এ ভবনের ছবিসহ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্ণপাত করেননি বলেও তিনি জানান।

১৯৯৪ সালে চার লাখ বিশ হাজার টাকায় এলজিইডি এ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করে। বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীসহ অন্যান্য রুমের ছাদেও বিমে ফাটল রয়েছে। চরম ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান কার্যক্রম চলছে।

এ বিষয়ে বরগুনার সদর উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, এ ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভবনটির যে যে স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, সে স্থানের পলেস্তারা ফেলে দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে বরগুনার তালতলীর ৫ নং পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ধসে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মানসুরা (৮) নিহত হয়। আহত হয় একই শ্রেণির আরো চার শিক্ষার্থী। নিহত মানসুরার বাবার নাম মো. নজির হোসেন তালুকদার। তিনি পেশায় একজন কৃষক। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মানসুরা ছোট। এ ঘটনায় আহতরা হলো সাদিয়া আক্তার, রুমা, ইসমাইল এবং শাহিন। তারা সবাই তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top