আমি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি : ফেরদৌস

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন অভিনেতা ফেরেদৌস। এই ধারাবাহিকতা তিনি ভারতে গিয়েও ধরে রেখেছিলেন। যার জন্য তিনি ভারতে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

এ সম্পর্কে ফেরদৌস বলেন ‘আমি স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে অন্য একটি দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ কোনোভাবেই উচিত হয়নি। আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আশা করি, সংশ্লিষ্ট সকলে আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’

ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়াটাকে ভুল মনে করছেন এই নায়ক। তিনি ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানান তিনি।

শর্ত ভঙ্গের কারণে ভারত সরকার ভিসা বাতিল করেছে এই অভিনেতার। দেশের বেশ কয়েকবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়ক শুটিং করতে ১২ এপ্রিল কলকাতায় যান। সেখানে শুটিংয়ের ফাঁকে তৃণমূলের পক্ষে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেন। এই প্রচারণায় অংশ নিয়েই বিপাকে পড়েন তিনি। ভারত সরকার ভিসা বাতিলের পাশাপাশি কালো তালিকাভুক্ত করে তাঁকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার রাতের ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় ফেরেন।

ফেরদৌস বলেন, ‘অভিনয়শিল্প আমার একমাত্র নেশা ও পেশা। অভিনয়শিল্পের মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষী সকলের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে সর্বদা কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার ভাবতে ভালো লাগে, দুই বাংলায় মানুষ আমাকে সমানভাবে ভালোবাসেন। দুই বাংলার মানুষের সংস্কৃতি ও জীবনাচারে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। আবার ভারত বহু কৃষ্টি-কালচারের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ একটি দেশ। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের অবদান আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। পাশাপাশি ভারতের জনগণের ত্যাগ-তিতিক্ষা আমাদের চিরঋণী করে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বহুদিনের। এখানের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক আমার বন্ধু। যাদের সঙ্গে আমি সব সময়ে হৃদ্যতা অনুভব করি। এ জন্য বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে আমি এখানে চলে আসি।’

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top