‘এক খুনে সাজা ফাঁসি, দশ খুনেও ফাঁসি’ আসামীর দম্ভোক্তি

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ‘এক খুনে সাজা ফাঁসি, দশ খুনেও ফাঁসি’ হত্যা মামলার প্রধান আসামী স্বপন মিয়া জামিনে এসে মামলার বাদি ও স্বাক্ষীদের এসব বলে খুনের হুমকি সহ চাদাঁ দাবির অভিযোগ ওঠেছে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোস্তাকিমকে ২০১৮ সনের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে ও পিঠিয়ে হত্যা করে স্বপন বাহিনীর লোকজন। এ ঘটনায় স্বপনকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার (২৬)।
নিহত মোস্তাকিমের বড় ভাই আবুল বাশার জানান, স্বপন ও তার বাবা আবু সাইদ ওরফে শাহেদ আলী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। চাঁদাবাজি, লুটতরাজ ও অসামাজিক কর্মকান্ডের জন্য তারা এলাকায় একটি নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেন। যা স্বপন-শাহেদ বাহিনী নামে পরিচিত। স্থানীয় লোকজন এদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পেতনা। একমাত্র তার ভাই মোস্তাকিম মেম্বার স্বপন-সাহেদ বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন। এ কারণে মোস্তাকিমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।
তিনি আরো জানান, স্বপন ও তার বাবা শাহেদ আলীর বিরুদ্ধে গৌরীপুর থানায় দায়েরকৃত ১৩টি মামলা চলমান রয়েছে। সম্প্রতি হাই কোর্ট থেকে হত্যা মামলার জামিনে এসে স্বপন ও তার লোকজন এলাকায় আগের মত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। হত্যা মামলার বাদি ও সাক্ষীর নিকট চাঁদা দাবিসহ মামলা প্রত্যাহারের জন্য অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। গত ১১ জুন স্বপন ও তার লোকজন আবুল বাশারের নিকট দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় এদিন রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে তারা। এসময় হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাকে মৃত্যুর হুমকী দিয়ে স্বপন বলেন, ‘এক খুনে সাজা ফাঁসি, দশ খুনেও ফাঁসি’। এ ঘটনায় আবুল বাশার বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গৌরীপুর থানার মামলা নং-৩০/১৬০। স্বপন-সাহেদ বাহিনীর অব্যাহত হুমকীর মুখে বর্তমানে আতংকে দিন কাটছে তাদের।
গৌরীপুর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মাওলা জানান, স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গৌরীপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। হত্যা মামলাটি ময়মনসিংহ সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। সবকটি মামলায় তিনি জামিনে আছেন।

Share this post

scroll to top