এক দানব বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে : মির্জা ফখরুল

রাজনীতিতে বন্ধ্যাত্ব ও দুর্ভিক্ষ চলছে। এক দানব বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। এতে পুরো জাতি সংকটে পড়েছে। বিএনপিতে কোনো সংকট নেই। রোববার সকাল ১১ টায় ডিআরইউ’র স্বাধীনতা হলে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহবায়ক কমিটির এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, কোনো ক্ষেতে বন্য হাতি ঢুকলে সে ক্ষেত আর থাকে না। ধ্বংস হয়ে যায়। তেমনিভাবে দেশে এখন দানবের শাসন চলছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সব মূল্যবোধকেও ধবংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক বলে দাবি করলেও চলছে স্বৈরাচারী শাসন। মানুষের কোনো অধিকার নেই। কথা বলার অধিকার নেই। মিথ্যা মামলা দিয়ে দমনপীড়ন চালাচ্ছে। এখন গায়েবী মামলার যুগ চলছে। এমন যে মামলা হয় তা আমাদের জানা ছিল না।

মির্জা ফখরুল বলেন, সারা দেশে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৯৯ হাজার গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার আসামী ২৫ লাখ। যা কেউ চিন্তাই করতে পারে না।

‘লোয়ার কোর্ট হায়ার দ্যান হাইকোর্ট’ (হাইকোর্টের থেকেও নিম্ন আদালত শক্তিশালী) মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, হাইকোর্ট জামিন দিলেও নিম্ন আদালত কারাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিলেও মুক্তি দিচ্ছে না। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ্য। যে মামলার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই সে মামলায় তিনি এখন কারাগারে। ট্রাস্টের অর্থ আত্মাসাত হওয়া তো দূরের কথা, সে অর্থ ব্যাংকে বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। সে মামলায় গণতন্ত্রের নেত্রী এখন জেলে আছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,‘চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ্য, তিনি সোজা হয়ে বসতে পারেন না।’

তিনি বলেন,‘মিথ্যা মামলা দিয়ে একজন নেতা, যিনি দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছেন গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যিনি তার সারাটা জীবন শুধু এই গণতন্ত্রের জন্যে লড়াই করেছেন। ব্যক্তিগত সুবিধা, পারিবারিক সুবিধা কোনো কিছুর দিকে লক্ষ্য করেননি। তাকে জেলে আটকে রেখেছে একটি মিথ্যা মামলায়, গায়েবি মামলায়। এটা কোথাও কেউ শুনেছে কোনো কালে, দেখেছে কোনো কালে, আমি জানি না।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন,‘আমরা কেউ কল্পনাই করতে পারি না যে, একটি গণতান্ত্রিক বলে দাবি করা রাষ্ট্রব্যবস্থায়, একটা সমাজব্যবস্থা, যেখানে মানুষের কোনো অধিকার নেই, মৌলিক অধিকারগুলো নেই, কথা বলা যাবে না, অবিশ্বাস্য ব্যাপার। মিথ্যা মামলা দিয়ে রাষ্ট্র তার নাগরিককে জেলে আটকে রাখে।’

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top