দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার শুনানি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে হয়েছে। আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১৮ মার্চ শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
এর আগে এ মামলায় জব্দকৃত আলামত ও নথির জন্য আবেদন করেছিল আসামি পক্ষ। কিন্তু সেগুলো এখনো না পাওয়ার বিষয়টি আজ আদালতকে জানিয়েছে শুনানির জন্য আরো সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
আজ কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বকশিবাজার কারাগারে হাজির করা হয়। এ সময় তার পরনে ছিল গোলাপী রঙের শাড়ি। একটি ওড়না দিয়ে শরীর ঢাকা ছিল। তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত একটি সাদা কাপড়ে ঢাকা ছিল।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে বেশ অসুস্থ মনে হয়েছে।
আজ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের আশপাশের এলাকায় নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে আদালতের আশপাশের এলাকা।
আজ এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে যে ডকুমেন্ট আছে তা আদালতের জিম্মায় দেয়ার আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি এ আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে গ্যাটকো মামলার রাষ্ট্রপক্ষের চার্জ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বেগম খালেদা জিয়াসহ এ মামলার সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আসামিপক্ষের আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন।
এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৪ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।