গৌরীপুরে চকলেটের লোভ দেখিয়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ

সাজ্জাতুল ইসলাম: ছোট্ট শিশুটি ঠিকমতো কথাও বলতে পারে না। বয়স মাত্র চার বছর। এ বয়সেই তাকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। দুই নরপশুর লালসার শিকার হয়ে শিশুটি এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নম্বর গৌরীপুর ইউনিয়নের গাভিশীমুল গ্রামে।

এঘটনার অভিযোগে বুধবার রাতে গৌরীপুর থানায় মামলা হয়েছে (মামলা নম্বর ১৫, তারিখ ১১/০৯/২০১৯)। মামলার বাদি শিশুটির বাবা মোখলেছুর রহমান। তিনি একজন রিক্সাচালক।

মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে শিশুটির বাবা ও মা দুজনেই ঢাকায় বসবাস করেন। বাবা রিক্সা চালিয়ে ও মা বুয়ার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ছোট্র এই শিশুটি তার দাদীর সাথে গাভিশীমুল গ্রামে বসবাস করতো। গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চকলেটে দেওয়ার কথা বলে ফুলসিয়ে প্রতিবেশী দুই যুবক গাভিশীমুল গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন (১৪) ও মো: হারুন মিয়ার ছেলে রাকিব (১৩) শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। তখন শিশুটির চিৎকারে তার প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষকদ্বয় পালিয়ে যায়। তখন শিশুটির দাদী ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে গৌরীপুর স্বাস্থ্যপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নতর চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করেন।

শিশুটির বাবা মোখলেছুর রহমান গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে জানান, আমি স্ত্রী ও সাত বছরের এক শিশু সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থাকি। মেয়েটি আমার মায়ের কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। মেয়ের এই অবস্থা শুনে গত মঙ্গলবার আমরা গাভিশীমুল গ্রামের বাড়িতে এসে শুনি মেয়ে চিকিৎসার জন্য গ্রাম্য মাতাব্বরদের মাধ্যমে চার হাজার দিয়েছে আসামী পক্ষের লোকজন। পরে আমি ওই টাকা মাতাব্বর জুয়েলের কাছে ফেরৎ দিয়ে বিচারের দাবিতে থানায় মামলা করেছি। তিনি আরো বলেন, তার মেয়ে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আছে।

গৌরীপুর ওসি (তদন্ত) মো: গোলাম মাওলা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এজাহারে উল্লেখিত আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। ভোক্তভুগী শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Share this post

scroll to top