গৌরীপুরে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও পিতা-কন্যাকে নির্যাতন

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের পর পিতা-কন্যাকে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী পিতার নাম আব্দুল হেমিক (৫০) ও তার কন্যা মোছাঃ আছমা আক্তার (২২)। বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর করে পিতা ও কন্যাকে নির্যাতনের এই অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার সাদেক মিয়া গংয়ের বিরুদ্ধে।

সোমবার সকালে উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের পাতরাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আহত পিতা ও কন্যাকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদিকে সোমবার রাতে বাদি হয়ে গৌরীপুর থানায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন হামলার শিকার ভূক্তভোগী আব্দুল হেমিক। মামলায় অভিযুক্তরা হল- সাদেক মিয়া (৩০), মোঃ মাসুদ মিয়া (৪০), মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৪৫), ফালু মিয়া (৪২), মোঃ মানিক মিয়া (৩৮), শাহ আলম (২৫) ও আল আমিন (২২)।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষ সাদেক মিয়া (৩০) গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল মামলার বাদি মোঃ আব্দুল হেকিমের। এই বিরোধের জের ধরে প্রায়ই আব্দুল হেকিম ও তার পরিবারের লোকজনদের নির্যাতন করা হতো। ফলে আব্দুল হেকিম গৌরীপুর থানায় সাদেক মিয়া (৩০), মোঃ মাসুদ মিয়া (৪০), মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৪৫) কে অভিযুক্ত করে একটি নন এফআইআর মামলা করেন।

ওই মামলায় পুলিশ তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। গত রোববার ২৮ জুলাই তারা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজত থেকে জামিনে ছাড়া পায়। পরদিন সোমবার সকাল ৯টার দিকে সাদেক মিয়ার নেতৃত্বে উক্ত মামলার আসামীরা আব্দুল হেকিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ সময় আব্দুল হেকিম ও তার কন্যা মোছাঃ আছমা আক্তার এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাদেরকে রশি দিয়ে বেধে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় মোছাঃ আছমা আক্তারকে টানাহেচড়া অভিযুক্তরা শ্লীলতাহানী করে বলেও অভিযোগ করা হয়।

পরে গৌরীপুর থানার পুলিশকে খবর দিলে এএসআই ফারুক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত আসামীরা পালিয়ে যায়।

গৌরীপুর থানার ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম মিয়া মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

Share this post

scroll to top