দুর্গাপুরে অর্ধেক ব্রীজ গেল কোথায় জানেন না জনপ্রতিনিধিরা!

রিফাত আহমেদ রাসেল, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা নেত্রকোনার দুর্গাপুরের ছোট একটি গ্রাম ভাবানীপুর। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট এই গ্রামটিতে চলাচলের একমাত্র রাস্তা উত্তর ফারংপাড়া বটতলা হয়ে নদী তরী একটি রাস্তা। তার উপর ভারতের ছড়ার পানি এসে মিশেছে সোমেশ্বরী নদীতে ফলে ছোট একটি ব্রিজের পেড়িয়েই চলাচল করতে হয় এখানকার স্থানীয় জনগণ, বিজিবি সহ সকলের।
তবে দীর্ঘ ১ বছর ধরে ব্রিজটি ২টি পিলার ভেঙ্গে পড়ে থাকায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চলাচল। ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়বাসিন্দা, বিজিবি সদস্যসহ পর্যটকদের। এ বিষয়টি বেশ কয়েকবার জনপ্রতিনিধিদের জানানোর পরো দেখেও না দেখার ভান করছেন বলে অভিযোগ স্থানীদের।
অপর দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর বিজিবি একটি ক্যাম্প রয়েছে এখানে । সীমান্ত রক্ষার কাজে প্রায় সময় যাতাযাত করতে হয় শহরে। কিন্তু ব্রিজ ভেঙ্গে থাকায় যাতাযাতে প্রতিনিয়তই ভ’গান্তি পুহাতে হচ্ছে বলে জানায় বিজিবি সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানায়, ভবানীপুর সিমান্তে চলাচলের রাস্তার উপর নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ২টি পিলার ভেঙ্গে থাকায় রয়েছে । ব্রিজটি নির্মাণে নানা ক্রুটি ছিল বলেই অল্পক’দিনের মধ্যেই উত্তরের অংশের দুটি পিলার ভেঙ্গে পড়ে যায়। ফলে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় চলাচলের ।
তারা আরো জানায়, দুর থেকে আসা পর্যটকদের চলাচলেও হচ্ছে নানান অসুবিধা। বর্তমানে নদী চরই চলাচলের একমাত্র ভরসা। তবে বর্ষা মৌসুমে নদী পানি দিয়ে ভরে গেলে আমরা কি ভাবে চলাচল করবো ? তাই বর্ষার বন্যার পানি আসার পূর্বেই যেন এ রাস্তার কাজ পুণঃনির্মান শুরু করা হয় এ ব্যাপারে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা কি পরিমান কষ্ট করছি এই ব্রিজটির জন্যে তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান চেয়েও দেখে না। একটু উদ্যোগ নিলেই এ রাস্তার উপর ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি-চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম সাজু বলেন, ব্রিজটি পুন:র্নিমাণ করার মত আমার অর্থ নাই, উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের সাথে ব্রিজটি নিার্মাণের ব্যাপারে কথা বলেছি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার বলেন, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। এ উপজেলার কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা উচিত। সেগুলো দ্রত ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে। তবে অবশ্যই এ ব্রিজটি নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরী এবং দ্রত সত্ত¡র যাতে উদ্যোগ নেওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top