বান্দরবানে দুর্বৃত্তের গুলিতে জনসংহতি সমিতির কর্মী নিহত

বান্দরবানে দুর্বৃত্তের গুলিতে জনসংহতি সমিতির এক কর্মী নিহত হয়েছেন। অপহরণ করা হয়েছে আরেক কর্মীকে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাজবিলা ইউনিয়নের তাইং খালী এলাকায়। নিহত ব্যক্তির নাম বিনয় তঞ্চঙ্গ্যা (৩৫)। তার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায়। তাইং খালী বাজারে মুদির ব্যবসা করতেন তিনি। এছাড়া অপহৃত ব্যক্তির নাম পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা (৩২)। ওই এলাকার ৯ নং রাবার বাগান এর শৈলতন পাড়া থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই বান্দরবান জেলা সদর হতে সেনাবাহিনীর টহল দল ওই এলাকায় যায়। রাজবিলা ক্যাম্প ও সদর থানা থেকে পুলিশও গিয়েছে সেখানে।

ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ক্যাং প্রু মারমা ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে সেখানে লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মংএ নু মারমা জানান, মুদি দোকানী বিনং তঞ্চঙ্গ্যা রাতে তার দাদা শ^শুরের বাসায় ছিল। সেখান থেকে সন্ত্রাসী ডেকে নিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। অন্যদিকে একই সময়ে ৯নং রাবার বাগান এলাকার শৈলতন পাড়ার পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো কেউ বলতে পারছে না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত ও অপহৃত দুজনই জনসংহতি সমিতির সমর্থিত। জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী গ্রুপ হয়তো এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

তবে জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সভাপতি উছোমং মারমা জানিয়েছেন, দুজনই তাদের কর্মী এবং এএলপি (আরাকান লিবারেশন আর্মি) সমর্থিত স্থানীয় ভাবে মগ বাহিনী নামের একটি গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে।

এদিকে পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সেখানে অভিযানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা তাইংখালী বাজারে অংক্যচিং নামের জনসংহতি সমিতির এক নেতাকে গুলি করলে তিনি মারাত্মক আহত হন। হঠাৎ করে বান্দরবানের রাঙ্গামাটি সীমান্ত সংলগ্ন রাজবিলা এলাকাটি উত্তপ্ত হয়ে উঠায় সেখানকার জনসাধারণ এখন আতঙ্কের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন। যে কোনো সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top