ভিসা বাতিলের আবেদন করেছেন ৬ হজযাত্রী

নিজেদের ভিসা বাতিল করতে হজ অফিসে আবেদন করেছেন ৬ জন হজযাত্রী। এরা সবাই সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০১৯ সালের হজযাত্রী ছিলেন। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এই ৬ জন হজযাত্রী গত সপ্তাহেই আবেদন করেছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজযাত্রী ছিলেন ৬ হাজার ৯২৩ জন। গত ২ আগষ্টের মধ্যে ৬ হাজার ৯শ’ ১৭ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। বাকি ৬ জন যাত্রী অসুস্থতার কারণে স্বেচ্ছায় আবেদন করে তাদের হজ ভিসা বাতিল করেছেন।

এদিকে ঢাকা হজ অফিস সূত্র জানায়, ২ আগষ্ট রাত ১২ পর্যন্ত সেবরকারি ব্যবস্থাপনার এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রীর মধ্যে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৭৩ হজযাত্রীর ভিসা প্রসেজ সম্পন্ন হয়েছে। হজ অফিসের হিসেব মতেই হজযাত্রীদের ভিসার বাকি আছে (২ আগষ্ট রাত ১২ টা পর্যন্ত) মাত্র ৩৩৩ জনের। যদিও শনিবার অর্থাৎ ৩ আগষ্টের মধ্যে আরো ৬০/৭০ টি ভিসা প্রসেজ হওয়ার কথা। সেই হিসেবে এ বছর হজযাত্রীদের সৌদি আরবে না যাওয়ার সংখ্যা (ড্রপ আউট) অনেক কমে এসেছে। গত বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের না যাওয়ার সংখ্যা বা ড্রপ আউটের পরিমাণ ছিল ৫৩৫ জন। আর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ড্রপ আউটের সংখ্যা ছিল ১৮ জন। এ সংখ্যা এবছর একেবারেই কমে এসেছে। রোববারের মধ্যে ড্রপ আউটের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারবে হজ অফিস।

ঢাকা হজ অফিসের সহকারি অফিসার (হজ) আবদুল আউয়াল নয়া দিগন্তকে জানান, কোন হজযাত্রী ভিসা হওয়ার পর হজে যেতে না পারলে বিষয়টি সৌদি হজ মন্ত্রণালয়কে আগেই জানাতে হয়। অন্যথায় পরবর্তী বছরে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের নির্ধারিত কোটা কমে যায়। তাই ভিসা বাতিলের যথার্থ কারণ দেখিয়ে হজের আগেই সেটি সেদেশের হজ মন্ত্রণালয়কে জানাতে হয়। তাই আমরা ঢাকা অফিসের পক্ষ থেকে হজে না যাওয়া হজযাত্রীদের নিকট থেকে আবেদন গ্রহণ করে সেই আবেদনের কপিসহ সৌদি হজ মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করি। আর এতে পরবর্তী বছরে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের কোটা অক্ষুন্ন থাকে।

Share this post

scroll to top