মর্গে বেজে উঠলো অগ্নিকাণ্ডে নিহত রাব্বির ফোন

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ আজ শুক্রবার সকালে এফআর টাওয়ারের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় তিনি জানান, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত মোট ২৫টি লাশ পাওয়া গেছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে আনা হয় সাতটি লাশ। তখনো তারা অজ্ঞাত। ঠিক এমন সময় একটি লাশের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। আর তাতেই মিলল একজনের পরিচয়।

ওই যুবকের নাম ফজলে রাব্বি (২৭)। অগ্নি দুর্ঘটনায় নিহতের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড়ে।

মর্গে রাব্বির সঙ্গে থাকা ফোন বেজে উঠলে তা বের করে কথা বলেন লাশের সঙ্গে থাকা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের একজন কর্মী। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তার পরিচয় জানালেন রাব্বির বড় বোন শাম্মী আক্তার।

ফোনে শাম্মী আক্তার জানান, ফজলে রাব্বি দুর্ঘটনাকবলিত এফ আর টাওয়ারের ১১ তলায় ইউরো সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর ১৭ নম্বর রোডে ২২ তলা এফ আর টাওয়ারের নবম তলায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। এদের সঙ্গে যোগ দেন সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। এলাকার সাধারণ মানুষও উদ্ধারকাজে অংশ নেন। উদ্ধারকাজে অংশ নেয় ৫টি হেলিকপ্টার। বালি-পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হয়। হেলিকপ্টারগুলো বাতাস দিয়ে ধোঁয়া সরানোর চেষ্টা করে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ছয় ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সন্ধ্যায় একাংশের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে প্রবেশ করেন। সেখানে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনেন।

এদের অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন। ধোঁয়ার কারণে অজ্ঞান হয়েও মারা গেছেন কেউ কেউ। আবার জীবিতও অনেককে উদ্ধার করা হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top