মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক

রাজবাড়ীর পাংশায় নিজের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজা মিয়া (৩৮) নামে এক রিকশাচালককে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রিকশাচালক রাজা মিয়াকে আটক করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের নিভা গ্রামের বাসিন্দা।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

নির্যাতিত স্কুলছাত্রী জানিয়েছে, তার বাবা মা দুজনেই কুষ্টিয়ায় থাকেন। তার বাবা সেখানে রিকশা চালান এবং মা একটি মেসে রান্নার কাজ করেন। সে বাড়িতে দাদীর কাছে থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। প্রায় এক বছর ধরে তার বাবা মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করেন।

বাবাকে সে এই কাজ করতে বার বার নিষেধ করলেও তিনি শোনেনি। সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে তার বাবা বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করে আবার কুষ্টিয়া চলে যায়। এরপর এ ঘটনা সে তার চাচাসহ এলাকার লোকজনদের কাছে বলে দেয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার রাজা মিয়া আবারও বাড়িতে আসেন। খবর পেয়ে তারা তাকে মারধর করে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস রাজা মিয়াকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস জানান, ইউনিয়ন পরিষদে শত শত মানুষের সামনে রাজা তার নিজ মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে তিনি থানায় ফোন করে রাজা মিয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

ওসি আহসান উল্লাহ্ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া তার মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন তারা। এছাড়া শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

স্থানীয়দের মারধরে রাজা মিয়া আহত হওয়ায় পুলিশি পাহারায় তাকে পাংশা উপজেলা হাসাপাতলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top