রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় মা-ছেলেকে কারাদণ্ড

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে মা ও ছেলেকে একই সাথে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার রাত ৮টায় পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্টেট হাবিবুল হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এই দণ্ডাদেশ দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ফারুকীপাড়া গ্রামের প্রবাসী আবুল কাশেশের স্ত্রী জহুরা বেগম (৪১) ও তার ছেলে মো: তোয়ারেজ (২০)।

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ফারুকী পাড়া গ্রামে প্রবাসী আবুল কাসেমের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ ওঠে। একারণে রোহিঙ্গাদের ঘিরে পুরো এলাকায় ইয়াবা কারবারিদের একটি চক্র তৎপর হয়ে উঠে বরৈ অভিযোগ ওঠে। এসব খবর পেয়ে ওই গ্রামে ঝটিকা পরিদর্শন করেন পটিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান। এসময় ঘটনার সত্যতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত একইসাথে মা ও ছেলেকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্টেট হাবিবুল হাসান বলেন, ওই বাড়ির কর্তা প্রবাসী আবুল কাশেম দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মালোয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনযাপন করছেন। তার পূর্ব-পুরুষরা রোহিঙ্গা। তারা পটিয়ায় এসে জায়গা ক্রয় করে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে নাগরিক হয় এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এলাকায় গণ উপদ্রব সৃষ্টি ও সাধারণ মানুষের মাঝে শঙ্কা তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে।

পরে মা ও ছেলেকে ১৮৬০ সালের ২৯১ ধারায় গণ উপদ্রব আইনে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সাথে রোহিঙ্গাদের ভোটার আইডি কার্ড পেতে সহযোগিতা প্রদান করায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top