২০১৯ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার বাকি আর অল্প কিছুদিন। এর আগে বিখ্যাত ক্রিকেট সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো প্রকাশ করেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা একাদশ। দলের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানো ইমরান খানের কাঁধে।

এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১১টি আসরের সেরা ক্রিকেটাদের বাছাই করে দলটি তৈরি করা হয়েছে। এই একাদশে উপমহাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন পাঁচজন ক্রিকেটার। জায়গা হয়নি কোন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের।

একাদশে উপমহাদেশ থেকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা থেকে দুইজন করে এবং ভারত থেকে একজন ক্রিকেটার রাখা হয়েছে। উপমহাদেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়া থেকে জায়গা পেয়েছেন চারজন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে পেয়েছেন একজন ক্রিকেটার।

১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানের অধিনায়ক ইমরান খানকে নেতৃত্বে রেখে, ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে রাখা হয়েছে ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারের সাথে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে। তিন, চার ও পাঁচে যথাক্রমে রেখেছে- রিকি পন্টিং, ভিভ রিচার্ডস ও কুমার সাঙ্গাকারাকে।

ব্যাটিং অর্ডারের ছয়ে অধিনায়ক ইমরান খানকে রাখা হয়েছে। সাতে দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনার ও আটে সর্বকালের সেরা বামহাতি পেসার ওয়াসিম আকরামকে রাখা হয়েছে। টেল এন্ডারে রয়েছেন তিন বিশেষজ্ঞ বোলার শেন ওয়ার্ন, মুত্তিয়া মুরালিধরন ও গ্লেন ম্যাকগ্রা।

ক্রিকইনফোর ২২জন কর্মী মিলে এই একাদশ বাছাই করেছেন। প্রাথমকিভাবে মনোনীত হয়েছেন ৩৯ ক্রিকেটার। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ইএসপিএনের ২২ কর্মীর সবার একাদশেই ওয়াসিম আকারামের জায়গা হয়েছিল।

একাদশে ১০ জন ঠিক হওয়ার পর একটি জায়গা নিয়ে লড়াই জমে ওঠে কুমারা সাঙ্গাকারা, সনৎ জয়াসুরিয়া, স্টিভ ওয়াহ, কপিল দেব ও এবি ডি ভিলয়ার্সের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সাঙ্গকারার ভাগ্যে আসনটি জোটে। একাদশের তিনজন ক্রিকেটার ১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে দলে জায়গা পেয়েছেন।

ক্রিকইনফোর সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ : 
ইমরান খান (অধিনায়ক), শচীন টেন্ডুলকার, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, রিকি পন্টিং, ভিভ রিচার্ডসন, সাঙ্গাকারাকে, ওয়াসিম আকরাম, ল্যান্স ক্লুজনার, শের্ন ওয়ান, মুত্তিয়া মুরালিধরন ও গ্লেন ম্যাকগ্রা।

সেরা একাদশের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (উইকেটরক্ষক):-  ৩১ ম্যাচ, ১০৮৫ রান, ৩৬.১৬ গড়, ৫২ ডিসমিসাল

শচীন টেন্ডুলকার:  – ৪৫ ম্যাচ, ২২৭৮ রান, ৫৬.৯৫ গড়, ৬ সেঞ্চুরি

রিকি পন্টিং: –  ৪৬ ম্যাচ, ১৭৪৩ রান, ৪৫.৮৬ গড়, ৫ সেঞ্চুরি

ভিভ রিচার্ডস: – ২৩ ম্যাচ, ১০১৩ রান, ৬৩.৩১ গড়, ৩ সেঞ্চুরি

কুমার সাঙ্গাকারা: ৩৭ ম্যাচ, ১৫৩২ রান, ৫৬.৭৪ গড়, ৫ সেঞ্চুরি

ইমরান খান (অধিনায়ক): ২৮ ম্যাচ, ৬৬৬ রান, ৩৫.০৫ ব্যাটিং গড়, ৩৪ উইকেট, ১৯.২৬ বোলিং গড়

ল্যান্স ক্লুজনার: ১৪ ম্যাচ, ৩৭২ রান, ১২৪ ব্যাটিং গড়, ২২ উইকেট, ২২.২৩ বোলিং গড়

ওয়াসিম আকরাম: ৩৮ ম্যাচ, ৫৫ উইকেট, ২৩. ৮৩ বোলিং গড়

শেন ওয়ার্ন: ১৭ ম্যাচ, ৩২ উইকেট, ১৯.৫০ বোলিং গড়

মুত্তিয়া মুরালিধরন: ৪০ ম্যাচ, ৬৮ উইকেট, ১৯.৬৩ বোলিং গড়

গ্লেন ম্যাকগ্রা:  ৩৯ ম্যাচ, ৭১ উইকেট, ১৮.১৯ বোলিং গড়

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *