সৌদি আরব যেতে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে গিয়ে ধরা রোহিঙ্গা যুবক

মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেনী থেকে পাসপোর্ট করতে সক্ষম হলেও সৌদি আরব যেতে স্থানীয় জনশক্তি কর্মসংস্থান অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন রোহিঙ্গা যুবক আব্দুল্লাহ (২১)। ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের  মো. জাহানের ছেলে হিসেবে আব্দুর রহমান নামে পাসপোর্ট করেছে এই রোহিঙ্গা যুবক। পাসপোর্টে মায়ের নাম নুর জাহান। বুধবার ফেনী শহরের মহিপালে জনশক্তি অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে এসে ধরা পড়ে সে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার দৈনিক বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে সাংবাদিকসহ অফিসে বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট নিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙ্গুলের ছাপ) দিতে আসেন আবদুর রহমান ওরফে আব্দুল্লাহ। এসময় ‘কথিত’ ওই সাংবাদিক দ্রুত কাজটি করে দিতে  জেলা জনশক্তি কর্মকর্তাদের চাপ প্রয়োগ করেন। পরে কর্মকর্তারা নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তাদের কথা বুঝতে পারছিলেন না ওই যুবক। এতে তাকে রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করা হয়। ঘটনাটি বুঝতে পেরে ওই সাংবাদিকসহ তার সঙ্গে আসা আরো দুইজন সটকে পড়েন। পরে আবদুর রহমান ওরফে আব্দুল্লাহকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

তার পাসপোর্ট তথ্যে জানা গেছে, ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত পাসপোর্ট (বিআর ০৬৮৭৪৪৩) ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রদান করা হয়েছে। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত নম্বর হিসেবে ১৯৯৮৩০১৫১২৩৯৮৬৯০৪ উল্লেখ আছে।

রোহিঙ্গা যুবক আবদুর রহমান জানান, গত দুই বছর আগে পরিবার নিয়ে মায়ানমারের মংড এরিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কক্সবাজার এর ১৬নং শফিউল্লা কাটা ক্যাম্পে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে দালালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে পাসপোর্টটি বানানো হয়। পরে ওই দালালদের মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে প্রিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে আসেন তিনি।

ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share this post

scroll to top