স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে পুলিশ সদস্যে বাড়িতে বিষের বোতল নিয়ে প্রেমিকার অবস্থান

সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) থেকে : ‘স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আর বাবার বাড়িতে ফিরে যাব না। এজন্যই হাতে বিষের বোতল নিয়ে এসেছি। লাশ হয়ে ফিরবো।’

পুলিশ সদস্যের প্রতারণার শিকার খাজিদা আক্তার আখিঁ (২১) নামের ওই তরুনী বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই তরুনী ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের পানাটি গ্রামের শামছুল হকের ছেলে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অবশন করছেন। খাদিজা আক্তার আখিঁ রামগোলপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া গ্রামের কৃষক আবুল কাশেমের মেয়ে। পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (পুলিশ কং-৫৪৩৯) রাজধানীর উত্তরা থানায় কর্মরত আছেন। এদিকে স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য খাদিজা আক্তার ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।খাদিজা জানান, ৬ বছর আগে জাহাঙ্গীরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে এফিডেভিট ও রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা ময়মনসিংহ শহরে একটি ভাড়া বাসায় প্রায় ৩ মাস একসঙ্গে থাকেন। এরপর জাহাঙ্গীর তার পরিবারের সদস্যদের ম্যানেজ করে ঘরে তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
কিছুদিন পর খাদিজাকে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করেন জাহাঙ্গীর। ২য় বিয়ের ঘটনা জানার পর জাহাঙ্গীরের নিকট স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে ঘরে তুলে নেয়ার আকুতি জানায় খাদিজা। এসময় জাহাঙ্গীর তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে উল্টো তাকে নানা হুমকী প্রদান করেন।
এ ঘটনায় মন্তব্য জানতে বুধবার দুপুরে জাহাঙ্গীর আলমের ০১৯৩১-৬০৪২৮৫ এ নাম্বারে কল করা হলে অপর প্রান্ত থেকে কেউ রিসিভ করেননি।
জাহাঙ্গীরের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, খাদিজার সাথে তার ভাইয়ের বিয়ের ঘটনা তাদের পরিবারের লোকজন আগে জানত না। মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণী তাদের বাড়িতে অবস্থান করার পর ঘটনাটি তারা জানতে পারেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top