হালুয়াঘাটে একের পর এক সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করছেন ভূমি কর্মকর্তা!

তিনি একজন ভূমি কর্মকর্তা। নাম মোঃ সাহাব উদ্দিন। বেতন ভাতা সবই পান নিয়মিত। কিন্তু তারপরও এক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি কয়েক লাখ টাকা মূল্যের সরকারি গাছ কর্তন ও বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়। অভিযুক্ত মোঃ সাহাব উদ্দিন এই উপজেলার শাকুয়াই ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তা মোঃ সাহাব উদ্দিন ২০-২৫টি সরকারি মেহগনি ও জাম গাছ কর্তন করে বিক্রি করে দেয়। যদিও সরকারিভাবে পরিবেশ রক্ষা করার জন্য গাছ লাগানোর কথা বলা হয়। কিন্তু নির্বিচারে গাছ নিধন করায় তা এখন পরিবেশ নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা আরো বলেন, কেটে ফেলা এসব সরকারি গাছের ছায়ায় পথচারীসহ ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মানুষজন বিশ্রাম নিতেন। ছিল পাখির কোলাহল। এতগুলো গাছ কেটে ফেলার পর এই এলাকা এখন মরুভূমির মতো মনে হয়।

শাকুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, সরকারি গাছগুলো কর্তন ও বিক্রির বিষয়টি তিনি লোক মারফত শুনেছেন। আগে মানুষ কাজ শেষে ওই গাছগুলোর তলায় বিশ্রাম নিতেন কিন্তু এখন তা আর সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে শাকুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তা মোঃ সাহাব উদ্দিন জানান, দু’টি গাছ ভূমি অফিসের টিনের ছাদে ‘হেলে পড়েছিল’ তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তবে সবগুলো গাছ কর্তন ও বিক্রির ব্যাপারে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি। কর্তন করা গাছগুলো বিক্রি হয়েছে এক লাখ দশ হাজার টাকায়। ওই টাকা অফিসের উন্নয়ন ও আসবাবপত্র তৈরির জন্য ব্যয় করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, একটি গাছের কিছু অংশ বেশ কয়েক বছর ধরে রাস্তার পাশে পড়েছিল বলে সেই গাছটি ভূমি কর্মকর্তাকে বিক্রি করতে বলেছিলেন। কিন্তু ভূমি কর্মকর্তা সবকটি গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শাকুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, সরকারি গাছগুলো কর্তন ও বিক্রির বিষয়টি তিনি লোক মারফত শুনেছেন। আগে মানুষ কাজ শেষে ওই গাছগুলোর তলায় বিশ্রাম নিতেন কিন্তু এখন তা আর সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমিন জানান, সরকারি জমির গাছ কাটতে বা বিক্রি করতে হলে বন বিভাগের পূর্ব অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু ওই গাছগুলো কাটা ও বিক্রির ব্যাপারে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে তার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হবে এবং অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top